ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এক-এগারোর সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রা, এরপর পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ষড়যন্ত্রে সেখানেই প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়া- অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এর আগে, যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিলেট এসে পৌঁছান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সিলেটে নেমেই তারেক রহমান তার ফেসবুকে লিখেন, অবশেষে সিলেটে, বাংলাদেশের মাটিতে!
তারেক রহমানকে বহনকারী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-২০২ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। প্রায় ১৭ বছর পর তারেক রহমানের দেশে ফেরার এই যাত্রায় তার সঙ্গে আছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।

২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কারাগারে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয় তারেক রহমানের ওপর। ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি সবগুলো মামলা থেকে জামিন পান। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। তৎকালীন সরকারের ষড়যন্ত্রে আর ফিরতে পারেননি।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হলে তারেক রহমানের দেশে ফেরার সব বাধা দূর হয়ে যায়। অবশেষে বিএনপির কোটি কোটি নেতাকর্মীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে জন্মভূমিতে ফিরলেন তিনি।

এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সংবর্ধনার প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে সুবিশাল মঞ্চ। বিমানবন্দরে নামার পর সরাসরি সেখানেই যাবেন তারেক রহমান।
প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখতে এবং ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে বুধবার রাত থেকেই পূর্বাচল ৩০০ ফিট হাইওয়ে এলাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। উৎসবমুখর পরিবেশে সবার মুখে মুখে একটিই স্লোগান ‘লিডার আসছে’।












